বৃন্ত থেকে ফুল ছেড়া আর হৃদয় ছেড়ার কষ্টে কোন বিভেদ নেই; তাই কোনদিনই তোমার জন্যে কখনো কোন গোলাপ কিংবা হলুদ গাঁদা তুলে দিতে পারিনি! সেই অপারগতা আমার দুঃখবোধকে উসকে দিলেও আমি কোনদিনই সৃষ্টির ধ্বংসে ভুলেও জড়াইনি নিজেকে কখনো। ক্সশশবে অঙ্কুরিত বৃক্ষ শিশুকে তুলে এনে মাকে শুধাতাম- ‘মাগো, কী গাছ হতে পারে বলো তো!’ মা ব্যস্ততার ধূলো ঝেড়ে নতুন পাতা নাকে শুঁকে গাছের জাতপাত বলে দিতেন অদ্ভূত অবলীলায়! যখন আরও বড় হলাম- মায়ের সমান উচ্চতায় মায়ের মতোই পাতার ঘ্রাণ নিয়ে বুঝে যেতাম কোনটা কাঁঠাল, জাম, জামরুল অথবা ছাতিম। তারপরও পাতা ছেঁড়া ফুড়াতো না কখনো আমার... আমার মা ছোটখাটো মানুষ, বয়সে ভারাক্রান্ত, তবুছানিপড়া চোখে চশমার ফাঁকে ফাঁকে এখনও তিনি পত্রিকার পাতায় জীবন খুঁজে ফেরেন নামাজ শেষে। তিনিই বলেছিলেন একদিন, ‘গাছেরও জীবন আছে! কেন ফুল তুলিস, পাতা ছিড়িঁ স, কষ্ট দিস অহেতুক?’ সেই কিশোর বেলায় মা’কে আশ্বস্ত করে বলেছিলামঅকারণে কোনদিনই তুলবো না কোন ফুল, অথবা পাতার ঘ্রাণ নেবো না কখনও কারণে বা অকারণে। সে জন্যেই তো তোমাকে কখনও দিতে পারিনি কোন ফুল... অথচ সেসব কথা বেমালুম ভুলে যাই উ™£ান্ত আমি! যখন শহীদ মিনারে যাই, দাঁড়াই বদ্ধভূমিতে গিয়েমুঠো মুঠো ফুল তুলে নেই হাতে বেদিতে ছড়াবো বলে এই এখানটায় মায়ের অবাধ্য আমি মায়েরই কারণে এই দেশটাও আমার মা, আর শহীদেরা আমার ভাই!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খোন্দকার শাহিদুল হক
কাবুল ভাই, আপনাকে সালাম। এ বাড়ি আজ প্রথম এলাম। আপনার কবিতা পড়ে খুব ভাল লাগল। আচ্ছা বলুন তো, এই বাড়ির খবর আগে কেন পেলাম না। সেই যে আলোর ব্লগে আছি আর কোন দিন দুনিয়ার খবরই আমার নেই। অথচ কাবুল ভাই কত জায়গাই রয়েছেন। আপনার কবিতা দারুণ হয়েছে। দারুন চেতনা। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।